সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজের ঐতিহাসিক প্লাজা মুরিলো চত্বরে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কংগ্রেস ভবন এলাকায় বুধবার ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে সেনা সদস্যরা জড়ো হয়। 

[৩] একপর্যায়ে একটি সাঁজোয়া গাড়ি প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের ধাতব ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়। সেনাবাহিনীর এই তৎপরতাকে ‘অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি। সূত্র: আলজাজিরা

[৪] সেনাবাহিনীর এই অভিযানের পরপরই হুয়ান হোসে জুনিগাকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট আর্চি। নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হোসে উইলসন সানচেজকে। তিনি সেনাসদস্যদের তাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়া নির্দেশ দেন। এই আহ্বান জানান প্রেসিডেন্টও। 

[৫] এর কিছুক্ষণ বাদেই প্লাজা মুরিলো চত্বর থেকে সেনাসদস্য ও ট্যাংকগুলোকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। 

[৬] সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট আর্চি জনগণকে গণতন্ত্রের পক্ষে থেকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। 

[৭] এপি জানায়, সেনারা সরে যাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট আর্চি মন্ত্রীদের নিয়ে প্রাসাদের বাইরে চত্তরে বেরিয়ে এসে পতাকা উড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক বলে শ্লোগান দেন।

]৭] জেনারেলজুয়ান জোসে জুনিগা এ অভ্যূত্থানের পেছনে ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে তা জানা যায়নি।

[৮] অভিযানের সময় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জেনারেল হুয়ান জুনিগা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশে গণতন্ত্র পুনর্গঠন করতে চায়, সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। হাতে গোনা সেই একই ৪০-৫০ জনকে আর দেশ পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।

[৯] বুধবার বলিভিয়ায় অভ্যূত্থান চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। সম্পাদনা: ইকবাল খান